আন্ডারওয়ার্ল্ড : চোখ এবার সেই নাটের গুরুদের দিকে

0 352

চট্টগ্রাম সংলাপ ডেস্ক: কিশোর গ্যাং থেকে শুরু করে সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র, নেপথ্যের খলনায়ক হয়ে থাকেন তারা। চুনোপুঁটিরা মাঝে মাঝে আইনের আওতায় এলেও তারা অধিকাংশ সময়ই থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। এবার সেই ‘নাটের গুরু’ বড় ভাইদের ধরতে চায় র্যা ব-পুলিশ। সে লক্ষ্যে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় অপরাধের মূল ইন্ধনদাতাদের চিহ্নিত করতে কাজ করে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সূত্র জানায়, দেশের পাশাপাশি যারা বিদেশে বসে ‘মাঠ পর্যায়ে’র অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেইসঙ্গে যারা নেপথ্যে ইন্ধন দিচ্ছে তাদের ওপরও চলছে বিশেষ নজরদারি। এক্ষেত্রে যারা এর শিকার হচ্ছেন তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, যারা চাঁদা চাওয়াসহ নানারকম অপরাধের শিকার হচ্ছেন তারা যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত তা জানান। কারণ ভুক্তভোগীরা থানায় না এলে আইনগতভাবে এগোনো যায় না। এতে অনেক অপরাধীর তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অজানা থেকে যায়।

সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া একটি অপরাধী চক্রের সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছেন, বিদেশে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী—যারা পালিয়ে বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে চক্রটির। বিদেশে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের মদদে দেশে অপরাধ চালিয়ে যাওয়া চক্রটির কেউ কেউ আবার স্থানীয় রাজনীতিতেও সম্পৃক্ত।

সূত্র বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রুপ। কিশোর গ্রুপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সীরা এসব গ্রুপে আছেন। এরা এলাকাভিত্তিক নানা অপরাধে জড়িত থাকেন। এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মদতদাতা হিসেবে স্থানীয় প্রভাবশালীরাও জড়িত। তাদের প্রশ্রয়েই বেপরোয়া হয়ে উঠছে গ্রুপগুলো।

সম্প্রতি চাঁদাবাজিকে ঘিরে রীতিমতো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এসব গ্রুপের সদস্যরা। বিভিন্ন গণপরিবহন কিংবা পণ্যবাহী গাড়ি থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের কাছে ফোন করেও চাওয়া হচ্ছে চাঁদা। সময়মতো টাকা না পেলে শুরু হয় হুমকি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, আমরা যারা ব্যবসা করি, তারা নিয়মিত কয়েকটি গ্রুপকে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছি।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (মিডিয়া এন্ড প্ল্যানিং) মোহাম্মদ হায়দার আলী খান বলেন, যারা চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন তারা যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হন তবে আমরা কাজ করতে পারি।

অন্যদিকে র্যাহবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে আমরা প্রথমে ছায়া তদন্ত করি। সম্প্রতি চাঁদাবাজির অভিযোগে বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের কাছ থেকে ইন্ধনদাতাদেরও তথ্য পেয়েছি।